খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভিআইপি সুবিধা পাচ্ছে আওয়ামীলীগ নেতা এবং ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খালিদ হোসেন। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে তার অনুসারী নেতাকর্মী নিয়ে প্রিজন সেলে রীতিমত রাজনৈতিক বৈঠক চালাচ্ছেন। পুলিশ প্রহরায় সহযোগীদের দিয়ে করাচ্ছেন সেবা শুশ্রুষা। তার পাহারায় রয়েছেন নাশকতা মামলার আসামি ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের পদধারী নেতারা।
খালিশপুর থানা পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক খালিদ আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় পালাতে গিয়ে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে আহত হন তিনি। পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়।
বুধবার দুপুরে প্রিজন সেলে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত: অর্ধশত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও খালিদ হোসেনের আত্মীয় স্বজনকে সেলের বাইরে পাহারা দিচ্ছে। পুলিশি পাহারায় আসামির সাথে বসে গল্প করছেন ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এনাম মুন্সী। ওই প্রিজন সেলের পৃথক কক্ষে আরো কয়েকজন আসামি রয়েছেন। সেসব কক্ষে আসামিদের দেখার মত কেউ নেই। অথচ প্রিজন সেলের ভেতরেই খালিদ হোসেনের কক্ষে মানুষ ভর্তি। এই নিয়ে অন্য আসামিরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রিজন সেলের কক্ষের বাইরে ডিউটিতে ছিলেন পুলিশ সদস্য রেজাউল ইসলাম। সেলের ভেতরে এত মানুষের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এস আই শামিম রেজার সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্য রেজাউল করিম মারমূখী আচরন করেন।
এদিকে খালিশপুর থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ নেতা এনাম মূন্সীর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
খালিশপুর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খালিদের বিরুদ্ধে বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগে খালিশপুর থানায় ৩টি এবং খুলনা সদর ও আড়ংঘাটা থানায় ১টি করে মামলা রয়েছে। এনাম মূন্সীর বিরুদ্ধেও একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে। তাকে পুলিশ খুঁজছে।
খুলনা গেজেট/এএজে